ত্বকেরও প্রয়োজন অক্সিজেন। কেননা, অক্সিজেনের অভাবে ত্বককে করে অলস, বয়স্ক, নিস্তেজ এবং ডিহাইড্রেটেড।সব সময় ত্বক পরিষ্কার রাখা মানেই ত্বকের প্রয়োজনীয় শ্বাস (অক্সিজেন) নিতে দেওয়া নয়। রক্তের অক্সিজেন ত্বকে পুষ্টি জোগায়। লোমকূপে প্রসাধনী আবদ্ধ হতে না দেওয়ার অর্থ ত্বককে শ্বাস নিতে দেওয়া। ত্বক ঠিকঠাক অক্সিজেন নিতে না পারলে ত্বকের ক্ষতি হয়। তাছাড়া অনাকাক্সিক্ষত ব্রণ, তেল চিটচিটেভাব, শুষ্কতা এমনকি বলিরেখাও দেখা দিতে পারে এর ফলে।
কেন ত্বকে অক্সিজেন প্রয়োজন
ত্বকের লোমকূপ যত কম আবদ্ধ থাকবে, ব্যবহৃত প্রসাধনী তত বেশি শোষণ করবে। আর ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এতে ত্বকের পিএইচয়ের মাত্রা বজায় থাকে। যে কারণে অতিরিক্ত শুষ্কতা ও তৈলাক্ততার সমস্যা দেখা দেয় না। কেননা, মেকআপ ব্যবহারে হওয়া ত্বকের ক্ষতি বা অস্বস্তি সমাধানে কিছুটা সময় তো দিতেই হবে।
ত্বকে অক্সিজেন পাওয়ার উপায়
► নিখুঁত ত্বকের জন্য আর্দ্রতা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। নানাভাবে ত্বক আর্দ্র রাখা যায় যেমন- পানি পান ও ময়েশ্চারাইজার। ত্বক আর্দ্র রাখা শ্বাস নিতে সহায়তা করে। কারণ পানি পানে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ে।
► পরিষ্কার ত্বকের অন্যতম শর্ত একে অক্সিজেন নিতে দেওয়া। তাই প্রয়োজন না হলে সপ্তাহে অন্তত একদিন মুখে কোনো রকম প্রসাধনী ব্যবহার না করা। এতে ত্বকে ভালো মতো অক্সিজেন নিতে পারবে এবং লোমকূপ উন্মুক্ত থাকবে।
► পরিষ্কার ত্বক পেতে ভালো মতো ধোয়ার বিকল্প নেই। ত্বকের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য, টানটানভাব এবং ধরন ইত্যাদি ভেবে এর যত্ন নিতে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো মতো ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। ব্যায়াম করার পরও ত্বক পরিষ্কার করা জরুরি।
► পরিষ্কার, সুস্থ ও অক্সিজেন নিতে পারে এমন ত্বকের জন্য এক্সফলিয়েশন জরুরি। প্রতি রাতে মুখ ধোয়া হলেও লোমকূপে তেল, ময়লা, মেকআপ ইত্যাদি রয়ে যায়। ফলে ত্বক শ্বাস নিতে পারে না। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার ত্বক ভালো মতো পরিষ্কার করতে এক্সফলিয়েট করা প্রয়োজন।