শজনেগাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘মরিঙ্গা ওলেইফেরা’। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, শজনেগাছ দিয়ে প্রায় ৩০০ রোগের চিকিৎসা করা যায়। এ জন্য একে ‘বিস্ময় বৃক্ষ’ বলা হতো। সেই হিসেবে শজনে ডাঁটাকে ‘বিস্ময় সবজি’ বললে খুব একটা ভুল হবে না।
পুষ্টি উপাদান
শজনে ডাঁটায় আছে ফাইবার, প্রোটিন ও অনেক খনিজ উপাদান। ১০০ গ্রাম ডাঁটায় শক্তির পরিমাণ মাত্র ৬৪ কিলোক্যালরি। আর আছে কার্বোহাইড্রেট ৮ দশমিক ২৮ গ্রাম, ডায়াটেরি ফাইবার ২ গ্রাম, ফ্যাট ১ দশমিক ৪০ গ্রাম, প্রোটিন ৯ দশমিক ৪০ গ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ৩৭৮ মাইক্রোগ্রাম, থায়ামিন দশমিক ২৫৭ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন দশমিক ৬৬০ মিলিগ্রাম, নায়াসিন ২ দশমিক ২২০ মিলিগ্রাম, ফোলেট ৪০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন ‘সি’ ৫১ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম।
হাড়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
শজনে ডাঁটা প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাসে ভরপুর। এই খনিজ উপাদান শিশুদের মজবুত হাড় গঠনে সহায়তা করে। বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতিদিনের ডায়েটে শজনে ডাঁটা রাখা উচিত।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। এগুলো সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, ফ্লুর জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধের লড়াই করে। শজনে ডাঁটা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হাঁপানি, কাশি ও অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন মানসিক চাপ কমানোর সেরা কিছু টিপস
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
এতে রয়েছে নায়াজিমিনিন ও আইসোথিয়োকায়ান্টের মতো বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ। এই যৌগ দুটি ধমনিগুলোকে প্রসারিত করে উচ্চ রক্তচাপ বিকাশের সম্ভাবনা হ্রাসে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, শজনে ডাঁটা খেলে কিডনি ও মূত্রাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে আসে। এর ভালো পরিমাণের অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের উপস্থিতি কিডনি থেকে বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন দূর করতে সহায়তা করতে পারে।
এ ছাড়া চোখের সমস্যা সারাতে ও দৃষ্টি বাড়াতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে, ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাসে ও যকৃতের সুস্থতায় শজনে ডাঁটা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।