বাঁধাকপি সচরাচর আমরা সবুজটাই খেয়ে থাকি। বেগুনি বাঁধাকপিও আমরা বাজারে পাই, কিন্তু কম ফলন হওয়ার কারণে বেশি পাওয়া যায় না। এর স্বাদ সবুজ বাঁধাকপির মতো। বেগুনি জাতটি উপকারী উদ্ভিদ যৌগগুলোতে সমৃদ্ধ, যা বিশেষ উপকারী। যেমন হাড় শক্তিশালী করে, হার্ট ভালো রাখে, প্রদাহ কমায় এবং নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।
তে আছেcক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন এবং অল্প পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, তামা ও জিংকও।

বেগুনি বাঁধাকপি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অন্যান্য উপকারী উদ্ভিদ যৌগের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা সেলুলার ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলোর মধ্যে আছে ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েড ও ফ্ল্যাভোনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্থোসায়ানিন আর কেমফেরল; যা সবুজ বাঁধাকপির চেয়ে দ্বিগুণ।

মজার বিষয় হলো, বাঁধাকপির পাতা ত্বকে লাগালেও প্রদাহ কমে যায়। যেমন, বাতরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রতিদিন একবার বাঁধাকপির পাতা হাঁটুতে অথবা যেখানে ব্যথা, সেখানে লাগিয়ে রাখলে জেলের মতো কাজ করে, ব্যথা কমায়। বেগুনি বাঁধাকপিতে ৩৬টির বেশি অ্যান্থোসায়ানিন রয়েছে, এটি হৃদ্রোগের জন্য একটি দুর্দান্ত পথ্য।
আরও পড়ুনঃ সাপের মতো বিষাক্ত, এই গাছকে ছুঁলেই আত্মহত্য়া করতে ইচ্ছা করে
সেই সঙ্গে অল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও জিংক থাকায় হাড়গঠনে ভূমিকা রাখে এবং হাড়ের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও দস্তার মতো উপাদান, যা হাড়ের জন্য উপকারী।
বেগুনি বাঁধাকপি নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানাসারের বিরুদ্ধে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এতে সালফোরাফেন ও অ্যান্থোসায়ানিন রয়েছে—দুটি যৌগ ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ক্রুসিফেরাস শাকসবজিসমৃদ্ধ খাবার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সালফোরাফেন ক্যানসারের কোষগুলো মেরে ফেলতে পারে, সেই সঙ্গে ক্যানসারের বৃদ্ধি ও বিস্তার রোধ করতে পারে।
বেগুনি বাঁধাকপি সালাদে কুচি করে খেতে পারলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া জুস করে খাওয়া যায়। তা ছাড়া রান্না করে খাওয়ায় কোনো বাধা নেই।