বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধে তেমন সাড়া নেই। সকাল ছটা থেকে নির্বাচনে তৃণমূল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই বনধ শুরু হয়েছে। চলবে ১২ ঘণ্টা। কিন্তু, রাজ্য প্রশাসন কড়া হাতে এই বনধের মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সোমবার সকাল থেকে স্বাভাবিক জনজীবন। নবান্নে রবিবার রাতে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব ডি এম, এসপিদের জানিয়ে দেন যে, সোমবার সব খোলা থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, স্কুল কলেজে স্বাভাবিক কাজ হবে। দোকানপাট বাজার খোলা থাকবে। চলবে ট্রেন, মেট্রো, বাস, মিনি, অটো সব।
সেই মতো সকাল থেকে রাস্তায় পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়। দোকানপাট খোলে। খোলে বাজারও। রাস্তায় ভিড় একটু কম ছিল। মানুষজন ভয়ে অনেকেই পথে নামেনি। বিজেপি বেশ কিছু কর্মসূচি নেয় এদিন। বিক্ষোভ সমাবেশ করে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু জায়গায় অবরোধও করা হয়। কিন্তু মোটের ওপর জনজীবন স্বাভাবিক আছে কলকাতায়, সারা বাংলায়।
কংগ্রেস বিজেপির বনধ ডাকার ইস্যুকে সমর্থন করলেও তাদের পথে দেখা যায়নি। বামেরা কটাক্ষ করে বলেছে, ভোটের দিন বিজেপিকে রাস্তায় দেখা যায়নি। তাদের এই বনধের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বামেরা আজ দুপুর দুটোয় নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করার কর্মসূচি নিয়েছে।