কলকাতায় প্রথম বার সফল হল ফুসফুস প্রতিস্থাপন। পূর্ব ভারতে প্রথম এই নজির তৈরি করল কলকাতা।চিকিত্সকদের মতে, করোনা আবহে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের ঝুঁকি নেওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। এই ধরনের বিরল অস্ত্রোপচারের রীতিমতো তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০শে সেপ্টেম্বর অপারেশন হয়। ৪৬ বছর বয়েসী দীপক হালদারের ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হয়। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই একমো সাপোর্টে ছিলেন তিনি।অবশেষে সুরাটের এক ব্যক্তির মরোণত্তর অঙ্গদানের সুফল পেলেন তিনি। ৫২ বছর বয়সি এক ব্যক্তির ব্রেনডেথ (মস্তিষ্কের মৃত্যু) হলে তাঁর অঙ্গদান করতে সম্মত হন পরিবারের লোকজন। সম্ভাব্য গ্রহীতা হিসেবে সবার প্রথমে নাম আসে কলকাতার লোকটির। ফুসফুসটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গুজরাটের সুরাট থেকে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এরপর সোমবার রাত থেকে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় তুমুল অধ্যাবসায়, মনোসংযোগ এবং দক্ষতার পরিচয় দেন চিকিৎসকরা। সফল হয় ফুসফুস প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার।
এই অপারেশনের জন্য তৈরি করা হয় বিশেষ মেডিকাল টিম। টিমে ছিলেন কার্ডিয়াক সার্জারি ও কার্ডিয়াক ক্রিটিকাল কেয়ার টিমের সদস্যরা। ছিলেন চিকিত্সক কুণাল সরকার, চিকিত্সক সপ্তর্ষি রায়, চিকিত্সক অর্পণ চক্রবর্তী, দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, মৃণাল বন্ধু দাস, তৃপ্তি তলাপাত্র, আশুতোষ সামাল, সৌম্যজিত ঘোষ, শ্রবণ কুমার, ঋতুপর্ণা দাস, শৈবাল শী, শৈবাল ত্রিপাঠি, সৌমাল্য মিত্র।
উল্লেখ্য, রাজ্যে মাত্র দুটি হাসপাতালের ফুসফুস প্রতিস্থাপনের লাইসেন্স রয়েছে। তিন বছর আগে এসএসকেএম হাসপাতালকে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের প্রথম ছাড়পত্র পায়। কিন্তু ঠিকমতো রোগী ও ফুসফুস না মেলায় প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। এবার কলকাতার এই বেসরকারি হাসপাতাল ফুসফুস প্রতিস্থাপনের লাইসেন্স পায়।