কেবলমাত্র শুভেন্দু অধিকারী নন, অমিত শাহ-র সভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। তবে কেবলমাত্র শুভেন্দু-শীলভদ্র নয়। গেরুয়া শিবিরে যাচ্ছেন তৃণমূলের ১০ জন বিধায়ক। একথা নিজেই বললেন শীলভদ্র। তাঁর কথায়, ১০-১২ জন যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। তাদের মধ্যে তৃণমূল ছাড়াও অন্য দলের বিধায়ক রয়েছেন বলে দাবি শীলভদ্রর।
কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডুও যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। দল ছেড়েছে আরও এক বিধায়ক। শুক্রবার কাঁথি উত্তর-এর বিধায়ক বনশ্রী মাইতি দল ছেড়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল ছেড়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এরপর তিনি যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ঘায়ফুলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন সুনীল মন্ডলও।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন প্রণব বসু। তাপসী মন্ডল, অশোক দিন্দা-র মতো বিধায়করাও এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যাচ্ছেন মালদার গাজলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। শনিবারই তৃণমূল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিতে চলেছেন তাঁরা।
এছাড়াও দলত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপক হালদার, অনন্ত দেব অধিকারী, বাচ্চু হাঁসদা, রণজিৎ মণ্ডলের মতো নেতারাও। বহুদিন ধরেই দলবিরোধী বেসুরো সুর শোনা গিয়েছিল এইসকল নেতাদের গলায়। যদিও ভাঙন আজকের নয়। ২০১৪ সালের পর তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপি শিবিরে এসেছে সৌমিত্র খান, অনুপম হাজরা, মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়েরা।