প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়৷ টানা ৪০ দিনের লড়াই শেষ৷ বেলভিউতে ভর্তি ছিলেন প্রবীণ অভিনেতা৷ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন৷ করোনামুক্ত হওয়ার পরও অবস্থার অবনতি হতে থাকে৷ যদিও পরবর্তীতে করোনা নেগেটিভ হন তিনি৷ তবে শেষ পর্যন্ত মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয় সৌমিত্রর৷
শনিবার রাতেই সৌমিত্রবাবুর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাঃ অরিন্দম কর জানিয়েছিলেন, ‘চিকিৎসকদের বিভিন্ন রকম চেষ্টা সত্বেও তাঁর (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। গত প্রায় ৪০ দিন ধরে তাঁরা চেষ্টা চালিয়েছেন। বিভিন্ন রকম চিকিৎসা পদ্ধতিতে তাঁর চিকিৎসা করা হয়েছে। স্টেরয়েড, প্লাজমা থেরাপি, করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বড় দল তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য কাজ করেছে। স্নায়ু, নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। সরকার এবং বেসরকারি- সব স্তরের চিকিৎসকেদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তবে আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, তাঁর শরীর চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে না। তাঁর পরিবারের সদস্যদের এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। সৌমিত্রবাবুর শারীরিক অবস্থা নিয়ে সবাই চিন্তিত, উদ্বিগ্ন। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন পুরো বিষয়টি। তবে আমরা শেষ চেষ্টা করছি।’
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু শুধুমাত্র বাংলা সংস্কৃতি জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি নয়, একটা যুগের অবসান৷