সাময়িক ভাবে স্থগিত হয়ে গেল Johnson & Johnson-এর করোনা টিকা ট্রায়াল। সম্ভাব্য টিকা নেওয়ার পর একজন ভলান্টিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেই কারণে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আপাতত পরীক্ষা স্থগিত করল Johnson & Johnson.
জনসন অ্যান্ড জনসনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “আমরা অস্থায়ী ভাবে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ রাখতে বাধ্য হলাম। ফেজ ৩ এনসেম্বেল ট্রায়ালও বন্ধ রাখতে হচ্ছে। কারণ অংশগ্রহণকারীরা অনেকেই ব্যখ্যাতীত ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।”
জনসন অ্যান্ড জনসনের সম্ভব্য প্রতিষেধটির নাম এডি২৬কোভ২এস। গত জুলাই মাসে প্রথম হনুমানের দেহে এই ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করে সাফল্য পান বিজ্ঞানীরা। দেখা যায়, কোভিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলতে পারছে ভ্যাকসিনটি। এরপরে ১ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকের উপর এই ভ্যাকসিন প্রযুক্ত হয়। জনসন-গবেষকরা বিবৃতি দিয়ে জানান, যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৯৮ শতাংশের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। এই অ্যান্টিবডি সক্রিয় থাকছে ২৯ দিন। অর্থাৎ ২৯ দিন প্যাথোজেন থেকে কোষরক্ষার ভরসা জোগায় এই ভ্যাকসিন।
যে কোনও ভ্যাকসিন তৃতীয় দফার ক্লিনিকাল ট্রায়াল সফল ভাবে পার করতে পারলে তবেই তাঁকে ব্যবহারের উপযোগী বলে ধরা হয়। জনসন অ্যান্ড জনসনের ক্ষেত্রে ৬০ হাজার মানুষের ওপর সম্ভব্য ভ্যাকসিন পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। এবার তীরে এসে সেই তরীই ডুবল।